পৃথিবীতে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, যিঁনি আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে এক খন্ড জমি ও একটি বাড়ি নির্মাণ করে উপহার দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের এই মহৎ প্রকল্পটিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে কিছুসংখ্যক মানুষের কারণে। গৃহনির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা ও নির্মাণসামগ্রী নেওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। অনেক ঘরমালিকের অভিযোগ, এসব ঘর তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ঘরের জানালার পাল্লা পর্যন্ত লাগানো হয়নি। দেয়াল ফেটে যাচ্ছে।
মেঝের সিমেন্টের পলেস্তারা উঠে যাচ্ছে। হস্তান্তরের শুরু থেকে অনেক ঘরে ছিল না পানি ও বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা। বর্ষা শুরুর পর কিছু এলাকায় ঘর ভেঙে যাওয়া এবং ফাটলের ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। কারো কারো বিরুদ্ধে তালিকা অনুযায়ী ঘর না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
যতটুকু জেনেছি, মোট ২২ জেলার ৩৬টি উপজেলায় ঘর নির্মাণে নানা অভিযোগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে প্রশাসনের পাঁচ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
এই প্রশাসন কর্মকর্তাদের অনেকে এতোদিন নিরবে কলমের কালি এদিক-সেদিক করে দুর্নীতি করলে আসলেও এবার কিন্তু জনসাধারণে
সামনে আস্তে-আস্তে তাদের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে।

দুর্নীতি একটি ভাইরাস যা সুযোগ পেলেই ভোগ-বিলাসিতা আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বার্থ উদ্ধার করতেই অনেকে নেমে পড়েন। রাজনীতিবিদের উপর যে দোষারোপ দীর্ঘদিন চলে আসছে, এবার জনগণ দেখলো আমলারাও দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই…হায় দুর্নীতি!!বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা ও নির্মাণসামগ্রী নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া হস্তান্তরের আগেই স্থাপনায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

শেরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় উপজেলায় ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেরপুর উপজেলায় প্রায় তিন কোটি টাকার এই কাজের দেখভাল করছে উপজেলা প্রশাসন।

আপনার মতামত দিন