ফুলতলা আসাদ রফি গ্রন্থাগার এই একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান 50 বছর পরেও কোন উন্নয়ন হয়নি


ফুলতলা খুলনা প্রতিনিধি
ফুলতলা (খুলনা) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আসাদ রফিক গ্রন্থাগার, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আজ থেকে 10 বছর পূর্বের বাংলাদেশ আর এখন বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে অনেক পার্থক্য তৈরী হয়েছে কেননা বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে কিন্তু উন্নয়নের স্পর্শ পাইনি এই ফুলতলা (খুলনা) আসাদ রফি গ্রন্থাগার, অথচ প্রতিবছর এখান থেকে মোটা অংকের টাকা উপার্জন হচ্ছে কিন্তু উন্নয়নের কথাটা স্বপ্ন দেখেনা আসাদ রফিক গ্রন্থাগার,
অথচ এই প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য প্রতিমাসেই জমা হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ, প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ কয়েকটি দোকান ঘর থেকে প্রতিমাসে ভাড়া বাবদ আসছে মোটা অংকের অর্থ, এই দোকান গুলো ভাড়া দেওয়া প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা, ৮টা দোকান এডভান্চ দেওয়া ২ লক্ষ টাকা করে, মোট ১৬ লক্ষ টাকা, প্রতি মাসে আয় ২৪ হাজার টাকা, প্রতি বছর আয় ২,৮৮,০০০ দুই লক্ষ অষ্টাশি হাজার টাকা, ছোট দোকান আছে আরো ৪ টা দোকান, তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয় ১০০০, টাকা করে ?
এমন অবস্থা সর্বোপরি ফুলতলা সকল জনসাধারণের একটাই দাবি এই দুর্দিনে এই মহামারীর মধ্যে সবাই সবার প্রথম থেকেই যে যতটুকু পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছে কিন্তু এমন অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উন্নয়ন তো নয় বরং কোন জনগণের সহযোগিতা আসছে না বলে মন্তব্য করেছে অত্র এলাকার কিছু সাধারণ জনগণ মন্তব্য একটাই তাদের বিগত দিন থেকে আমরা এখনো দেখিনি যে এই প্রতিষ্ঠান কখনো কোন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বরং বিগত বছর থেকে যে অর্থ এই প্রতিষ্ঠানের উপার্জন করেছে তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক উন্নতি হওয়ার কথা
অথচ সেই একই অবস্থায়, এত অর্থ উপার্জনের পরে ও কেন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়নি কোন পরিবর্তন নাই, নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া তাই সকল জনসাধারণের প্রতি সুদৃষ্টি এবং সঠিক বিষয়টি তদন্ত করে যেন মানবকল্যাণে এবং প্রতিষ্ঠানটি নিজের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা যেন আরো যুগোপযোগী হয় সেই প্রত্যাশা, সকল জনগণের, কয়েকদিন ধরে এই বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তোলপাড় চলছে অত্র এলাকার
একজন তরুণ সমাজসেবক সৈকত ইকবাল নামে এ বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখির মাধ্যমে অত্র এলাকার সকল জনগণের সুদৃষ্টি এবং নজরদারিতে এই তথ্যগুলো প্রকাশ হয় কিন্তু বিগত এত বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে কেউ কোনো আলোচনা-সমালোচনা করেনি সৈকত ইকবাল তার ফেসবুক এ একটা পোস্ট করার পর, সেখান থেকে আলোচনার শুরু হয় তবে সবাই একমত পোষণ করছে সকল জনগণ অত্র এলাকার
সৈকত ইকবাল বলেন, ( ফুলতলা (খুলনা) আসাদ রফি গ্রন্থাগার ) আপনাদের কাছে প্রশ্ন ? দুর্ভিক্ষ এবং দেশের এই করোনা পরিস্থিতির মহামারীতে, জনগণের কল্যাণে কখনো কি এই প্রতিষ্ঠান টি, বিন্দুমাত্র সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, ? কোথায় খরচ হয় এই অর্থ ? একটা ২১শে ফেব্রুয়ারি, একটা ২৬ শে মার্চ , ১৬ ডিসেম্বর, এতেই প্রতিষ্ঠান জমাকৃত সমস্ত অর্থ ব্যয় হয় না বরং অবশিষ্ট টাকা গুলো কোন কাজে ব্যয় হয়, ৭১ সালের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠান টি একনায়কতন্ত্র ভাবে একটি মহল নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ?
প্রিয় ফুলতলা বাসি মনে রাখবেন এই ফুলতলা উপজেলা আপনার আমার আগামী প্রজন্মের ? এই প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়ন এবং ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখ সবকিছু আমাদের দেখতে হবে প্রতিটি সামাজিক সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া পায় কিন্তু এই একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান 50 বছর পরেও কোন পরিবর্তন নাই
তাই অত্র এলাকার সুশীল সমাজ এবং সমাজের বিবেকবান ব্যক্তিদেরকে এ বিষয় নিয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসি
এ সংক্রান্ত আরো খবর
আর্কাইভ

সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |