সম্মানিত অভিভাবক মন্ডলী।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশাকরি ভালো আছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছুটি বৃদ্ধি করতে করতে সর্বশেষ ২১সালের ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য ক্লাস চালু হবে কিনা বলা যাচ্ছে না। লকডাউন এর কারণে আমরা বছরের শুরু হতে যতটা সম্ভব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া বুঝিয়ে দেওয়া এবং নেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিয়মিত ক্লাসবন্দ থাকলেও অনেক অভিভাবক তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণের জন্য প্রাইভেট টিউটরের মাধ্যমে পড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা, ক্লাসের তদারকি, নিয়মিত পরীক্ষা না থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ার টেবিলে বসতে চায় না। এজন্য প্রয়োজন পরীক্ষা। বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম পর্ব পরীক্ষা নিয়ে তার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।এখন দ্বিতীয় পর্ব টিউটোরিয়াল পরীক্ষা চলছে। বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে দ্বিতীয় পর্ব পরীক্ষা হবে ইনশাআল্লাহ ।অনেকে ভাবছেন ক্লাসেতো এমনিতেই উঠে যাবে সুতরাং পয়সা খরচ করে লাভ কি?অনেকে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট বন্ধ করে দিয়েছেন,এদিকে স্কুলে ক্লাস বন্ধ। এতে করে ছাত্র ছাত্রীরা শিখবে কোথা থেকে? অটোপাশ বা এসাইনমেন্টের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে উঠবে ঠিক কিন্তু তাদের শিক্ষার মানের ঘাটতি থেকে যাবে।
মনে রাখতে হবে ক্লাসে উঠা আপনার সন্তানের মূল টার্গেট নয়।মূল টার্গেট শিক্ষা অর্জন করে আদর্শ মানুষ হওয়া।সে আপনার, আমার, দেশের সম্পদ।এ সম্পদকে শক্তিশালী করতে তার পিছনে সময়, শ্রম, অর্থ ব্যায় করতে হবে। যেহেতু ক্লাস হচ্ছে না তাই ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুলের সাথে যোগাযোগ,অভিভাবকের তত্বাবধায়ন এবং প্রাইভেট ঠিক রাখা প্রয়োজন।তা না হলে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সম্মানিত অভিভাবকদের এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। সকল নিয়ম শৃঙ্খলা অব্যাহত রেখে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়নে আপনার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
প্রিন্সিপ্যাল গাওসুল আযম হাদী
চেয়ারম্যান
আইডিয়াল ফাউন্ডেশন।
ফুলতলা, খুলনা।
আপনার মতামত দিন